সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন
আফজাল হোসেন- দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার হরগোবিন্দপুর মালঞ্চা গ্রামে বিষ প্রয়োগ করে প্রায় ১৭ বিঘা জমির বোরো ধানের চারা নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি ফুলবাড়ী থানায় অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন অভিযোগকারী কৃষক।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেতদিঘী ইউনিয়নের মালঞ্চা গ্রামের মৃত মকছেদুর রহমানের প্রথম স্ত্রীর সন্তান মোঃ সোহানুর রহমান সোহান ও ২য় স্ত্রীর সন্তান মোঃ নাহিদ জামান লিমন এর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ চলে আসছে। বিষয়টি নিয়ে ইতপূর্বে একটি মামলা দিনাজপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোটে মামলা চলমান রয়েছে।
কিছু দিন আগে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে ২য় পক্ষের সন্তান মোঃ নাহিদ জামান লিমন গত (৪ জানুয়ারি) রোববার দিবাগত রাতে প্রথম পক্ষের সন্তান মোঃ সোহানুর রহমান সোহানের রোপনকৃত বোরো চারাগাছ বিষ প্রয়োগে নষ্ট করে দেয়। এর পরের দিন সোহানুর রহমান সোহান বাদি মোঃ নাহিদ জামান(২৬) পিতা মৃত মকসেদুর রহমান, মোঃ মিজানুর রহমান(৩৫) পিতা আবু বক্কর সিদ্দিক, মোঃ মেজবাউল রহমান(৪০) পিতা আবু বক্কর সিদ্দিক, মোঃ সাজ্জাদ(৫০) পিতা আবু বক্কর সিদ্দিক, সাজ্জাদ হোসেন পিতা- আবু বক্কর সিদ্দককে বিবাদি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কৃষক মোঃ সোহানুর রহমান জানান, আমি আমারসহ এলাকারসীর প্রায় ১৬ বিঘা জমিতে বোরো রোপনের প্রয়োজনে বীজতলা রৈতী করি। গত ৫ তারিখে জমিতে সেই চারা জমিতে রোপন করার কথা। গত রবিবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখি বিষ প্রয়োগ করে আমার সব চারাগাছ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আমি বিষয়টি নিয়ে গত (৫ জানুয়ারী) সোমবার ফুলবাড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ দায়েরর পর এখন পর্যন্ত কোন পুলিশ আমার ক্ষতিগ্রস্থ জমি দেখতে আসে নাই। এতে আমি হতাশা। আমার সাথে শত্রুতা থাকতে পারে সে জন্য আমার বোরো চারা গাছগুলো ধ্বংস করতে হবে এটা কেমন কথা। আমি চারা গাছ ধ্বংস কারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
স্থানীয় সাবেক মেম্বার আব্দুল কাশেম বলেন, এই বছরে সবচেয়ে বেশি শীত। শীতের কারনে অনেক এলাকায় বোরো চারার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে চারা পাওয়া অনেক কঠিন। এমন সময় বোরো চারা গাছের সাথে শত্রুতা না করলেও পারতো। চারার অভাবে প্রায় ১৭ বিঘা জমিতে বোরো চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়লো।
অভিযোগের বিষয়ে ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি। আমার তদন্ত অফিসারকে তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।